সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে ১৩তম বেতন গ্রেড প্রদান করা হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও শিথিল করা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল তা দূর হলো।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৩তম বেতন গ্রেড প্রদান বিষয়ে আদেশ জারি করেছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ আদেশে প্রকাশ করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ জারির পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে যারা এখনো কর্মরত আছেন, তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলপূর্বক বেতন গ্রেড নির্ধারণে অর্থ বিভাগের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।
এ আদেশের ফলে সব শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার সিদ্ধান্ত হয়। এত দিন প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছিলেন।
কিন্তু পরিবর্তিত নিয়োগবিধি ও যোগ্যতার কারণে বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাতে অসংখ্য শিক্ষক বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার আগে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, পরে তা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এখন আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতানির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩–এর সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের আদেশ জারি হলো।